Use translator to translate this page

কেন যীশুকে ক্রুশে হত্যা করা হয়েছিল

কেন যীশুকে  ক্রুশে হত্যা করা হয়েছিল ? Read this article in English
আমরা প্রত্যেকে সবাই যীশুর ক্রুশবিদ্ধ ছবি দেখেছি এবং ইতিহাসে ও পড়েছি যে যীশুকে  ক্রুশে হত্যা করা হয়েছিল । কিন্তু কেন তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল তা হয়তো অনেকেই জানেন না । তাই আজ এই পোস্ট টি লিখছি । 

হ্যালো, আমার নাম সুকুমার এবং আগের লেখাতে আমরা পড়েছি যে যীশু ঈশ্বর ছিলেন এবং তিনি বিভিন্ন ভাবে তাঁর প্রমান দিয়েছেন । আপনি যদি আমার আগের লেখাটি না পড়ে থাকেন তাহলে আগে পোস্ট টি পড়ে ফেলুন নিচে দেওয়া লিঙ্ক এ ক্লিক করে । 
ইতিহাস এ আমরা অনেক ঘটনা পড়েছি কিংবা শুনেছি কিন্তু সেগুলোর মধ্যে সবথেকে অদ্ভুত হচ্ছে যীশুর কাহিনি । তিনি কখনোই কোন দেশে রাজত্ব করেননি তবুও সবাই তাঁকে রাজা বলত। এমনকি যখন যীশুকে ক্রুশে টাঙ্গানো হয়েছিল , সৈন্যরা তাঁর মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে  দিয়েছিল যেখানে লেখা ছিল " এ ব্যাক্তি ইহুদীদের রাজা "।  তিনি কোন ডাক্তার ছিলেন না তবুও মানুষেরা তাঁকে একজন মহান চিকিৎসক হিসাবে জানত । এবং আজও অনেক মানুষ আছেন যারা যীশুর কাছেই এসে সুস্থতা পেয়েছেন । তিনি অসংখ্য কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করেছেন , অন্ধকে চোখ খুলে দিয়েছেন , মৃতকে জীবন দিয়েছেন । তিনি কখনোই কোন বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি তবুও তিনি একজন মহান শিক্ষক হয়ে উঠেছিলেন । পৃথিবীতে তিনি মাত্র সাড়ে তেত্রিশ বছর ছিলেন এবং তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র জীবন জাপন করেছেন । আজও পর্যন্ত কেউ তাঁর সম্পর্কে কোন দোষের কথা বলতে পারেননি । এবং এর দাবিদার স্বয়ং যীশুও ছিলেন । যীশু নিজে বলছেন " তোমাদের মধ্যে কে আমাকে পাপী বলিয়া প্রমান করিতে পারে ?" ( যোহন ৮:৪৬) 
পৃথিবীতে তিনি অসংখ্য আশ্চর্য করেছেন যা আজ পর্যন্ত আর কেউ করেননি কিন্তু সবথেকে দুঃখজনক বিষয় হল যে মানুষেরা তবুও তাঁকে ক্রুশে দিয়েছিল। আসুন আজ আমরা নিজেদের চিন্তা ভাবনার মধ্য দিয়ে দেখি মানুষেরা কেন যীশুকে ক্রুশে দিয়েছিল - 

প্রথম কারন 
তিনি বিশ্রামবারে রোগীদের সুস্থ করতেন । 
                                  ( মার্ক ২:২৩-২৮ ) 
আর তিনি বিশ্রামবারে শস্যক্ষেত্র দিয়া যাইতেছিলেন; এবং তাঁহার শিষ্যেরা চলিতে চলিতে শীষ ছিঁড়িতে লাগিলেন। ইহাতে ফরীশীরা তাঁহাকে কহিল, দেখ, যাহা বিধেয় নয়, উহারা তাহা বিশ্রামবারে কেন করিতেছে? তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, দায়ূদ ও তাঁহার সঙ্গীরা খাদ্যের অভাবে ক্ষুধিত হইলে তিনি যাহা করিয়াছিলেন, তাহা কি তোমরা কখনও পাঠ কর নাই? তিনি ত অবিয়াথর মহাযাজকের সময়ে ঈশ্বরের গৃহে প্রবেশ করিয়া, যে দর্শন-রুটি যাজকবর্গ ব্যতিরেকে আর কাহারও ভোজন করা বিধেয় নয়, তাহাই ভোজন করিয়াছিলেন, এবং সঙ্গীগণকেও দিয়াছিলেন। তিনি তাহাদিগকে আরও কহিলেন, বিশ্রামবার মনুষ্যের নিমিত্তই হইয়াছে, মনুষ্য বিশ্রামবারের নিমিত্ত হয় নাই; সুতরাং মনুষ্যপুত্র বিশ্রামবারেরও কর্তা। 
                       ( মার্ক ৩:১-৬ )
আর তিনি আবার সমাজ-গৃহে প্রবেশ করিলেন; সেখানে একজন লোক ছিল, তাহার একখানি হাত শুকাইয়া গিয়াছিল। তখন লোকেরা, তিনি বিশ্রামবারে তাহাকে সুস্থ করেন কি না, দেখিবার জন্য তাঁহার প্রতি দৃষ্টি রাখিল; যেন তাঁহার নামে দোষারোপ করিতে পারে। তখন তিনি সেই শুষ্কহস্ত লোকটিকে কহিলেন, মাঝখানে আসিয়া দাঁড়াও। পরে তাহাদিগকে কহিলেন, বিশ্রামবারে কি করা বিধেয়? ভাল করা না মন্দ করা? প্রাণরক্ষা করা না বধ করা? কিন্তু তাহারা চুপ করিয়া রহিল। তখন তিনি তাহাদের অন্তঃকরণের কাঠিন্যে দুঃখিত হইয়া সক্রোধে চারিদিকে তাহাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া সেই লোকটিকে কহিলেন, তোমার হাত বাড়াইয়া দেও; সে তাহা বাড়াইয়া দিল, আর তাহার হাত আগে যেমন ছিল, তেমনি হইল। পরে ফরীশীরা বাহির হইয়া তৎক্ষণাৎ হেরোদীয়দের সহিত তাঁহার বিরুদ্ধে মন্ত্রণা করিতে লাগিল, কি প্রকারে তাঁহাকে বিনষ্ট করিতে পারে। 
                   ( যোহন ৫:১৫-১৬ )
সেই ব্যক্তি চলিয়া গেল, ও যিহূদীদিগকে বলিল যে, যীশুই তাহাকে সুস্থ করিয়াছেন। আর এই কারণ যিহূদীরা যীশুকে তাড়না করিতে লাগিল, কেননা তিনি বিশ্রামবারে এই সকল করিতেছিলেন। 



দ্বিতীয় কারন 
যীশু পাপ ক্ষমা করতেন এবং পাপীদের ভালবাসতেন ।  
                  ( মার্ক ২:১-১২ ) 
কয়েক দিবস পরে তিনি আবার কফরনাহূমে চলিয়া আসিলে শুনা গেল যে, তিনি ঘরে আছেন। আর এত লোক তাঁহার নিকটে একত্র হইল যে, দ্বারের কাছেও আর স্থান রহিল না। আর তিনি তাহাদের কাছে বাক্য প্রচার করিতে লাগিলেন।
তখন লোকেরা চারি জন লোক দিয়া একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোককে বহন করাইয়া তাঁহার নিকটে আনিতেছিল। কিন্তু ভিড় প্রযুক্ত তাঁহার নিকটে আসিতে না পারাতে, তিনি যেখানে ছিলেন, সেই স্থানের ছাদ খুলিয়া ফেলিল, আর ছিদ্র করিয়া, যে খাটে পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোকটি শুইয়াছিল, তাহা নামাইয়া দিল। তাহাদের বিশ্বাস দেখিয়া যীশু সেই পক্ষাঘাতগ্রস্তকে কহিলেন, বৎস তোমার পাপ সকল ক্ষমা হইল। কিন্তু সেখানে কয়েক জন অধ্যাপক বসিয়াছিল; তাহারা মনে মনে এইরূপ তর্ক করিতে লাগিল, এই ব্যক্তি এমন কথা কেন বলিতেছে? এ যে ঈশ্বর-নিন্দা করিতেছে; সেই একজন, অর্থাৎ ঈশ্বর, ব্যতিরেকে আর কে পাপ ক্ষমা করিতে পারে? তাহারা মনে মনে এইরূপ তর্ক করিতেছে, ইহা যীশু তৎক্ষণাৎ আপন আত্মাতে বুঝিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা মনে মনে এমন তর্ক কেন করিতেছ? কোন্‌টা সহজ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোককে ‘তোমার পাপ ক্ষমা হইল’ বলা, না ‘উঠ, তোমার শয্যা তুলিয়া বেড়াও’ বলা? কিন্তু পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করিতে মনুষ্য-পুত্রের ক্ষমতা আছে, ইহা যেন তোমরা জানিতে পার, এই জন্য- তিনি সেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোককে বলিলেন- তোমাকে বলিতেছি, উঠ, তোমার খাট তুলিয়া লইয়া তোমার ঘরে যাও। তাহাতে সে উঠিল, ও তৎক্ষণাৎ খাট তুলিয়া লইয়া সকলের সাক্ষাতে বাহিরে চলিয়া গেল; ইহাতে সকলে অতিশয় আশ্চর্যান্বিত হইল, আর এই বলিয়া ঈশ্বরের গৌরব করিতে লাগিল যে, এমন কখনও দেখি নাই। 
              ( মার্ক ২:১৩-১৭ ) 
পরে তিনি আবার বাহির হইয়া সমুদ্র-তীরে গমন করিলেন, এবং সমস্ত লোক তাঁহার নিকটে আসিল, আর তিনি তাহাদিগকে উপদেশ দিলেন। পরে তিনি যাইতে যাইতে দেখিলেন, আল্‌ফেয়ের পুত্র লেবি করগ্রহণ-স্থানে বসিয়া আছেন; তিনি তাঁহাকে কহিলেন, আমার পশ্চাৎ আইস; তাহাতে তিনি উঠিয়া তাঁহার পশ্চাৎ গমন করিলেন। পরে তিনি তাঁহার গৃহমধ্যে ভোজন করিতে বসিলেন, আর অনেক করগ্রাহী ও পাপী যীশুর ও তাঁহার শিষ্যগণের সহিত বসিল; কারণ অনেকে উপস্থিত ছিল, আর তাহারা তাঁহার পশ্চাৎ চলিতেছিল। কিন্তু তিনি পাপী ও করগ্রাহীদের সঙ্গে ভোজন করিতেছেন দেখিয়া ফরীশীদের অধ্যাপকেরা তাঁহার শিষ্যদিগকে কহিল, উনি করগ্রাহী ও পাপীদের সঙ্গে ভোজন পান করেন। যীশু তাহা শুনিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, সুস্থ লোকদের চিকিৎসকের প্রয়োজন নাই, কিন্তু পীড়িতদেরই প্রয়োজন আছে; আমি ধার্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকেই ডাকিতে আসিয়াছি। 

তৃতীয় কারন 
তিনি নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র বলতেন এবং নিজেকে ঈশ্বরের সমান দেখাতেন । 
                ( যোহন ৫ঃ১৭-১৮ ) 
কিন্তু যীশু তাহাদিগকে এই উত্তর দিলেন, আমার পিতা এখন পর্যন্ত কার্য করিতেছেন, আমিও করিতেছি। এই কারণ যিহূদিগণ তাঁহাকে বধ করিতে আরও চেষ্টা করিল; কেননা তিনি কেবল বিশ্রামবার লঙ্ঘন করিতেন তাহা নয়, কিন্তু আবার ঈশ্বরকে নিজ পিতা বলিতেন, আপনাকে ঈশ্বরের সমান করিতেন। 
                      ( যোহন ১০:৩০-৩৩ )
আমি ও পিতা, আমরা এক। যিহূদীরা আবার তাঁহাকে মারিবার জন্য পাথর তুলিল। যীশু তাহাদিগকে উত্তর করিলেন, পিতা হইতে তোমাদিগকে অনেক উত্তম কার্য দেখাইয়াছি, তাহার কোন্‌ কার্য প্রযুক্ত আমাকে পাথর মার? যিহূদীরা তাঁহাকে এই উত্তর দিল, উত্তম কার্যের জন্য তোমাকে পাথর মারি না, কিন্তু ঈশ্বর-নিন্দার জন্য, কারণ তুমি মানুষ হইয়া আপনাকে ঈশ্বর করিয়া তুলিতেছ, এই জন্য। 

             তিনি জগতে ছিলেন, এবং জগৎ তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল, আর জগৎ তাঁহাকে চিনিল না। লোকেরা তাঁকে ক্রুশে দিল । 
যখন পিলাত তাঁহার বিচার করছিলেন তখনও তিনি যীশুর সম্পর্কে বলেছিলেন "আমি ত ইহার কোনই দোষ পাইতেছি না"। (যোহন ১৮:৩৮ ) 
তিনি ঈশ্বর ছিলেন এবং তিনি মৃত্যুবরন করার জন্য জগতে এসেছিলেন । তিনি জানতেন যে তাঁকে ক্রুশে মরতে হবে । 
                     ( যোহন;২০:১৭-১৯)
পরে যখন যীশু যিরূশালেমে যাইতে উদ্যত হইলেন, তখন তিনি সেই বারো জন শিষ্যকে বিরলে লইয়া গেলেন, আর পথিমধ্যে তাঁহাদিগকে কহিলেন, দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাইতেছি; আর মনুষ্যপুত্র প্রধান যাজকদের ও অধ্যাপকদের হস্তে সমর্পিত হইবেন; তাহারা তাঁহার প্রাণদণ্ড বিধান করিবে, এবং বিদ্রূপ করিবার, কোড়া মারিবার ও ক্রুশে দিবার জন্য পরজাতীয়দের হস্তে তাঁহাকে সমর্পণ করিবে; পরে তিনি তৃতীয় দিবসে উঠিবেন।  
বাইবেল আমাদের বলে যে আমরা সবাই পাপী 
‘‘ধার্মিক কেহই নাই, একজনও নাই" , কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে-। ( রোমীয় ৩:১০-২৩ ) 
যেহেতু আমরা সবাই পাপী তাই আমরা কেউ ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি না । পবিত্র বাইবেল প্রকাশিত করে দিয়েছে যে ঈশ্বর মানুষকে বিনা পাপে সৃষ্টি করেছিলেন । অবশ্য মানুষই তাঁর অবাধ্যতার মাধ্যমে নিজের উপর পাপের অভিশাপ বয়ে এনেছিল । " ঈশ্বর মনুষ্যকে সরল করিয়া নির্মাণ করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহারা অনেক কল্পনার অন্বেষণ করিয়া লইয়াছে।" ( উপদেশক ৭:২৯ ) 
"অতএব যেমন এক মনুষ্য দ্বারা পাপ ও পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল; আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই পাপ করিল। " ( রোমীয় ৫:১২) 
এইভাবে 'পাপ' প্রথম মানুষ আদমের মাধ্যমে মানবজাতির জীবনে প্রবেশ করেছিল ও সেখান থেকে পরবর্তী প্রজন্মগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে । যাই হোক আমাদের কাউকে পাপ করা শেখাতে হয় না । যেহেতু আমরা পাপী তাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু । " কেননা পাপের বেতন মৃত্যু "। 
যদিও আমরা পাপ থেকে বাঁচার জন্য অনেক ধর্ম কর্ম করি , তীর্থযাত্রা করি তবুও কোন কিছুই আমাদের পাপকে শুচি করতে পারে না । কেননা " রক্তসেচন ব্যতিরেকে পাপমোচন হয় না।"  একজন নিস্পাপ মানুষের রক্তের প্রয়োজন ছিল যে আপনার পাপের মুল্য দেবেন । তাই স্বয়ং ঈশ্বর প্রভু যীশু রুপে আসলেন এবং তিনি কুমারি গর্ভে জন্ম গ্রহন করলেন । তিনি স্ত্রীজাত, ব্যবস্থার অধীনে জাত হইলেন, যেন তিনি মূল্য দিয়া ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে মুক্ত করেন, । 
বাইবেল বলে "শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন, ও কবর প্রাপ্ত হইলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন"। ( 1st cor 15:3-4)
নিচের পদগুলি পড়ুন যেগুলো যীশুর জন্মের প্রায় ৭৪২ বছর আগে লেখা হয়েছিল - 
                     Isaiah 53( যিশাইয় 53 ) 
তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য,ব্যথার পাত্র ও যাতনা পরিচিত হইলেন; লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে, তাহার ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হইলেন,আর আমরা তাঁহাকে মান্য করি নাই। সত্য, আমাদের যাতনা সকল তিনিই তুলিয়া লইয়াছেন,আমাদের ব্যথা সকল তিনি বহন করিয়াছেন;তবু আমরা মনে করিলাম,তিনি আহত, ঈশ্বরকর্তৃক প্রহারিত ও দুঃখার্ত। কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ,আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন; আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্তিল,এবং তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল। আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি,প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন। তিনি উপদ্রুত হইলেন,তবু দুঃখভোগ স্বীকার করিলেন, তিনি মুখ খুলিলেন না; মেষশাবক যেমন হত হইবার জন্য নীত হয়,মেষী যেমন লোমচ্ছেদকদের সম্মুখে নীরব হয়, সেইরূপ তিনি মুখ খুলিলেন না। তিনি উপদ্রব ও বিচার দ্বারা অপনীত হইলেন; তৎকালীয়দের মধ্যে কে ইহা আলোচনা করিল যে, তিনি জীবিতদের দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইলেন? আমার জাতির অধর্ম প্রযুক্তই তাঁহার উপরে আঘাত পড়িল। আর লোকে দুষ্টগণের সহিত তাঁহার কবর নিরূপণ করিল, এবং মৃত্যুতে তিনি ধনবানের সঙ্গী হইলেন,
যদিও তিনি দৌরাত্ম্য করেন নাই,আর তাঁহার মুখে ছল ছিল না। তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল;
যাই হোক যীশু তিন দিন পর আবার জীবিত হয়ে উঠেছিলেন যেন, "যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পায়।" ( যোহন ৩ঃ১৫)  কিন্তু আপনি যীশুকে নিয়ে কি করবেন? 
সিদ্ধান্ত আপনার ! আপনি যীশুকে নিয়ে কি করবেন ? 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

10 মন্তব্যসমূহ

  1. তিনি যদি ইশ্বর ছিলেন তো মৃত‍্যু কেন হয়েছিল ? ইশ্বরতো অমর

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. পুরো পোস্ট ভালোভাবে পড়ুন আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন .

      মুছুন
  2. এটা গল্প ছাড়া কিছুই না 😁😁

    উত্তরমুছুন
  3. Esor to chilo ajo provu jishu bacha acha amadar modda punorjibito hoya chilo tay esor amadar papar karona moracha esor bacha acha potakta manusar modda ar ata golppo halao sootty

    উত্তরমুছুন
  4. এই গুলা মানুষের তৈয়ারি মনগড়া কথা।যিশু ঈশ্বর হলে কিভাবে মরতে পারেন?ঈশ্বত সবকিচুর জীবন দাতা আর তিনি নিজকে ক্রুস হইতে রক্ষা করতে পারলেন না?জগত এমন নিসক্রিয় সত্তাকে কখনো প্রভু মানবেনা,যারা যিশুকে মানে তাহা হইল যিশুর প্রচারিত বানিকে বিকৃত করে প্রচার।ইহা যিশুর কিছু শীর্ষ আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে সাজিয়ে যিশুর বানী হিসাবে প্রচার করতেছে।যিশু সত্য নবী তাতে কোন ভুল নাই।মোদ্দা কথা ইহুদিরা যিশুকে নবী হিসাবে মানে নাই এবং তাদের প্ররোচনায় রোমান শাসক ট্রাইবেরাসের প্রতিনিধি বিচারক পিলেত তাকে প্রহসনমুলক বিচারে তথাকথিত ফাসি দিয়েছিলেন।একথা সুবিধিত যে যিশু সৃস্টিকর্তার নবী হওয়ায় তিনি তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন এবং যিশুর আকৃতিতে অন্যলোককে ক্রুসে চড়ানো হয়েছে কেন না যিনি পিতা ছাড়া অলৌকিকভাবে জম্মেছেন তিনি সেই মহান সত্বার দ্বারাই রক্ষা হয়েছেন।এটাই বিশ্বাসযোগ্য।

    উত্তরমুছুন
  5. যিশু খ্রিস্ট ঈশ্বর ছিলেন। তা সত্তেও তিনি মৃত্যু বরণ করেছিলেন। এর্ থেকে প্রমাণ হই যে ঈশ্বরও বিধির বিধান পাল্টাতে পারেন না ।
    "জন্ম মানেই মৃত্যু নিশ্চিত "
    এটা মর্ত্যলোকের নিয়ম ;সর্গলোকের নিয়ম টা ঠিক জানিনা।

    উত্তরমুছুন
  6. যীশু মৃত্যুকে জয় করেছেন . তৃতীয় দিবসে তিনি জীবিত হয়ে উঠেছিলেন এবং ৪০ দিনের ও বেশি সময় পৃথিবীতে ছিলেন , ৫০০ এর ও বেশি মানুষ তাঁর জীবিত হওয়ার সাক্ষী দিয়েছেন .

    উত্তরমুছুন